পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরে একের পর এক হামলার ঘটনায় অশাস্ত হয়ে উঠেছে শাসক দলের রাজনীতি। আর এসব হামলা ও রাজনৈতিক অস্থিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিবাদে বুধবার (০৫মে) বিকালে পিরোজপুর শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন যুব ও ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন অংগসংঠন। জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান ফুলু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. জাহিদুল ইসলাম পিরু, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের আহ্বায়ক মো. সফিউল হক মিঠু, জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. জিয়াউল হাসান জিয়া, জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক বাবুল হালদার, জেলা শ্রমীকলীগ সাধারন সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাসান মামুন, সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি সৈয়দ ইমরান হোসেন প্রমুখ। জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে আ.লীগের রাজনৈতিক কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একের পর এক হামলা চলছে। হামলার মূল নেতৃত্বে আ.লীগের এক গ্রুপের পক্ষে ইমরান সিকদার ওরফে এম গং। এরই জের ধরে পাল্টা হামলার চেষ্টা করে শোডাউন দেয় সোহাগ সিকদারের নেতৃত্বে আর একটি গ্রুপ। এ ঘটনায় শহরে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। শহরে শান্তি-শৃখ্ঙলা রক্ষায় গত মঙ্গলবার (০৪মে) মিছিল করেছেন আ.লীগের এক গ্রুপ। জানা গেছে, ধারাবাহিক হামলার সূত্রপাত ঘটে গত ৩০ এপ্রিল শুক্রবার শহরের শান্তনা বেকারীর সামনে এস কে সাগরের উপর হামলার মধ্য দিয়ে। ওই ঘটনার পর পরই বৈদ্যপাড়া মোড়ে মোহাম্মদ মিরাজ শেখের উপর হামলা করে এম সিকদারের ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। এ হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় মিরাজ শেখ। এরপর গত সোমবার (০৩মে) সন্ধ্যায় সোহাগ সিকদার বন্ধুদের সাথে ইফতারি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওত পেতে থাকা একই সন্ত্রাসী দল সোহাগের উপর হামলা করে এবং তার মটর সাইকেলসহ চারটি মটরসাইকেল ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে সোহাগকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর সোহাগ তার তার দলবল নিয়ে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভ এবং বারি তালুকদার জয়েনের বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও দরজায় লাথি দেয়। তবে এ ঘটনায় য়ুবলীগ নেতা ফয়সাল মাহাবুব শুভ হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর গুলি ও বোমা নিক্ষেপের দাবী করেছেন। এ ব্যপারে সোহাগ সিকদারের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমাদের লোকদের উপর প্রতিপক্ষের লোকজন অব্যাহত হামলা করে যাচ্ছে। স্থাণীয় ক্যাডার এম সিকদারের নেতৃত্বে আমার উপর হামলার পরও পুলিশ রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে। ওই এম সিকদার এর আগে পুলিশের ৪ কর্মকর্তা সহ ৭ জনকে দায়িত্ব পালন কালে পিটিয়ে আহত করা মামলার আসামী। কিন্তু সে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পিরোজপুর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বাদল গত তিন দিনের ধারাবাহিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যেকটি হামলার ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। উভয় গ্রুপকে নিভৃত করতে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।
Leave a Reply